সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

মালচিং পদ্ধতিতে ফসল চাষে আগ্রহী কৃষকরা

নিজিস্ব প্রতিবেদক : মালচিং হচ্ছে নিরাপদ সবজি চাষের একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। মালচিং এসেছে মালচ শব্দ থেকে যার অর্থ মাটি ঢেকে দেয়া। বর্তমানে লাভজনক এই পদ্ধতিতে বদলগাছীসহ নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে উচ্চমূল্যের ফসল চাষ করার দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। পিকেএসএফের অর্থায়ন ও কারিগরি সহযোগিতায় স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ‘মৌসুমী’ এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন করছে। সরকার আরো সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এলে একদিন পরিবেশবান্ধব এই মালচিং পদ্ধতিতে নিরাপদ সবজি চাষ জেলাজুড়ে বিস্তার লাভ করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।


সরেজমিন দেখা যায়, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার জগন্নাথপুর, বসন্তপুর, পাহাড়পুর, দোনোইল গ্রামের মাঠে মালচিং পেপারে চাষ করা হচ্ছে ক্যাপসিকাম, টমেটো, শসা, মরিচ, স্ট্রবেরি, বেগুন, করলাসহ নানা সবজি। এমন পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্য চাষিরাও ফসল চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। মূলত রবি মৌসুমে জমিতে পানির স্বল্পতা থাকায় এই মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।


এই পদ্ধতিতে কৃষকরা অল্প পরিশ্রম, সেচ, খাদ্য ও কীটনাশক ব্যবহার করে ফসলের দ্বিগুণ উৎপাদন পেয়ে লাভবান হওয়ায় বদলগাছীসহ সদর উপজেলার কৃষকরা মৌসুমীতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে মালচিং পদ্ধতিতে ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।


বর্তমানে মৌসুমীর তত্ত্বাবধানে ২২ জন কৃষক মালচিং পদ্ধতিতে প্রায় ৩৫ বিঘা জমিতে উচ্চমূল্যের ফসলসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন। জগন্নাথপুর গ্রামের ক্যাপসিকাম চাষি নিলুফা ইয়াসমিন জানান, প্রথমে তিনি ইউটিউবে এই মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হন। এরপর স্বামীসহ মৌসুমীতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ১২ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন।


একই এলাকার আরেক চাষী ইবনে সাবিত বলেন তিনি মালচিং পদ্ধতিতে শশা ও করলা চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছেন। এই পদ্ধতিতে সবজি চাষ করলে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ার পাশাপাশি ফলনও বেশি হয়। তাই আগামী মৌসুমে তিনি মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে তরমুজসহ অন্যান্য ফসল চাষ করতে ইচ্ছুক বলে জানান।


মালচিং পদ্ধতিতে ফসল চাষে খরচ অনেকটা কম হওয়ায় অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব। স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমীর কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, ‘আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি বাণিজ্যকরণ পদ্ধতি হিসেবে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে আসছি।’


বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবাব ফারহান বলেন, এ উপজেলার কৃষকদের কাছে এই মালচিং পদ্ধতি বেশ সাড়া ফেলেছে। দেশের কৃষি ও কৃষকদের আধুনিকরন করতে এমন উন্নত কৃষি প্রযুক্তির বিকল্প নেই। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি মৌসুমীর মতো অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থাগুলোরও উচিৎ দেশের কৃষিকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা। 

Main Ad

এরজে/নওগাঁ/তিতাস টাইমস২৪

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

© TitasTimes24 All Rights Reserved

class='remove-footer'>